নিজস্ব সংবাদদাতা।। বিরোধপূর্ণ জমির উপর নির্মান করা কেশবপুরের উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যলয়টি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভেঙে ফেলেছে। অন্যদিকে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই জমি তাদের তবে ক্ষমতায় নেই বলে তাদের কিছু বলার নেই। এছাড়া ক্ষমতা হারানোর পর জমির মালিকনা দাবিদাররা ওই জমি তাদের দখলে নিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়,কেশবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কের উপজেলা সহকারী ভূমি কার্যালয়ের সামনে চার শতক জমিতে সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি দোতলা ভবন নির্মপণ করা হয়। এই জমির পাশে তৎকালীন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা আক্তার নাহিদ ও কেশবপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রেজাউল হোসেনের দখলে রয়েছে।
জমির মালিকেরা বলেছেন তাদের ৩০ শতক জমি জোর করে দখল করে সেখানে ভবন নির্মান করা হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে ভবনটির দ্বিতীয়তলার ছাদ ভাঙা শুরু হয়। পরে সামনের জানালার অংশ ভাঙা হয়। সরেজসিনে গিয়ে দেখা যায়,ভবনের ছাদের তিন ভাগের দুই অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। জানালাগুলো ভেঙে সমান করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৫ আগস্টের পরেই ওই ভবনটি পুরো কাটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখল করে রাখে মালিকানা দাবিদার গং। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ৮ আগষ্ট জমিটির পুরোটাই তারের বেড়া দিয়ে দখলে নেওয়া হয়।
সেখানে দেওয়ানী ৮১/১ মোকদ্দমা বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে ২১/০৮/২০১৬ তারিখের রায় ও ২৮/০৮/২০১৬ তারিখের মামলা ডিক্রি মূলে মরহুম আবদুল হামিদ খানের ওয়ারিশ গং এই জমির মালিক। ব্যানারটি ছেড়া/নষ্ট করা দন্ডনীয় অপরাধ লেখা সম্বলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
উক্ত বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা এর কাছে জানতে চাইলে আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম-কে তিনি বলেন ২০১০ সালে মৃত আকরাম হোসেন নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকায় ওই জমি কিনে ভবন করা হয়। তারপর থেকে ভবনের জায়গার দাবিদাররা আদালতে মামলা করে চলেছেন। সে কারণে নামজারি করা যায়নি। এছাড়া তিনি আরও বলেন,জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তারপরে ও কার্যালয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দল ক্ষমতায় নেই তাই এখন আমাদের দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই বলে তিনি প্রতিবেদক-কে জানান।
উল্লেখ্য,আব্দুল হামিদ খানের বড় ছেলে শামছুল আরেফিন খান ইউনাইটেড পিপলস পার্টির সাবেক সভাপতি। পরবর্তিতে শামসুল আরেফিন খান বিএনপির সংসদ সদস্য পদে যশোর-৬ আসন কেশবপুর থেকে নির্বাচন করে ফেল করেন। শামছুল অরেফিন খান বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। শামছুল আরেফিন খানের ভাই নুরুজ্জামান বলেন,ভবন ভাঙা এবং জমি উদ্ধারের বিষয়ে তিনি কোন কিছু বলবেন না। তিনি শামছুল আরেফিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।